আইন অমান্য করলেই ছাত্রদের যা হাল করবেন সরকার
সম্প্রতি ঢাকা ও চট্টগ্রামের অন্তত ৯টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বড় ধরনের সহিংসতার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। যদিও এই ঘটনায় কোনো প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি, তবে আহত হয়েছেন কয়েকশ শিক্ষার্থী। এছাড়া ভাঙচুর ও লুটপাটের কারণে প্রায় অর্ধশত কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। এর ফলে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে এবং অভিভাবকদের মধ্যেও গভীর উদ্বেগ বিরাজ করছে।
এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় শিক্ষার্থীদের সংঘাতে না জড়াতে নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ নির্দেশনার অংশ হিসেবে কো-কারিকুলার কার্যক্রমের একটি তালিকাও প্রকাশ করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা শিক্ষা সম্পর্কিত নয় এমন বিভিন্ন ইস্যুতে সভা-সমাবেশ ও মিছিলে অংশগ্রহণ করছে। এর ফলে শিক্ষার পরিবেশ ব্যাহত হচ্ছে, এবং শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ ধরনের কর্মকাণ্ড অভিভাবকদের মধ্যেও উৎকণ্ঠা বাড়াচ্ছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, “এ প্রেক্ষাপটে শিক্ষার্থীদের পাঠমুখী ও শ্রেণিকক্ষমুখী রাখতে হবে। পাশাপাশি, তাদের বিভিন্ন ধরনের কো-কারিকুলার কার্যক্রমে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। এ লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানপ্রধানদের অভিভাবকদের সম্পৃক্ত করে শ্রেণি কার্যক্রম এবং কো-কারিকুলার কার্যক্রম জোরদার করার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।”
বিজ্ঞপ্তিতে ৯টি কার্যক্রমের একটি নমুনা তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে:
- শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আঙিনা পরিচ্ছন্নতা অভিযান।
- ‘বিজয়ের ৩৬ জুলাই’ ভিত্তিক গ্রাফিতি অঙ্কন, যার শ্রেষ্ঠ কাজ পুরস্কৃত হবে।
- ‘ক্রান্তিকালে তারুণ্য দুর্জয়’ থিমে গান তৈরি ও পরিবেশনা।
- গার্লস স্কুল ও কলেজে পার্সোনাল হাইজিন বিষয়ক প্রশিক্ষণ।
- জাতীয় দিবস উপলক্ষে তারুণ্য কুচকাওয়াজ।
- ‘জুলাই বিপ্লব’ বিষয়ক আলোচনা সভা।
- শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কাছাকাছি নান্দনিক স্থান দলবদ্ধ ভ্রমণ।
- তারুণ্য উৎসবকে কেন্দ্র করে ক্রিকেট, ভলিবল ও ফুটবল টুর্নামেন্ট।
- Gen-Z Entrepreneur শীর্ষক বিতর্ক প্রতিযোগিতা।
এই পদক্ষেপগুলো শিক্ষার্থীদের সংঘাত থেকে দূরে রেখে ইতিবাচক কার্যক্রমে যুক্ত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।